দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি
· মহিলাদের আত্ম -কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
· চাকুরী বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র
মহিলাদের আত্ম -কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
পটভূমিঃ দুঃস্থ মহিলাদের আত্ন-কর্মসংস্থান ও জীবনযাাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজস্ব বাজেটে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল বাবদ সরকারের প্রাপ্তি সাপেক্ষে এই ঋণ কর্মসূচি ২০০৩-০৪ অর্থ বৎসরে শুরূ হয়েছে। এই কর্মসূচির আলাদা নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারসভাপতিত্বে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা (ঋণ) কমিটির মাধ্যমে এই কর্মসূচি পরিচালিত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও আতম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত মহিলা জনগোষ্টির আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি,তাদের অধিকার সংরক্ষণ ও উৎপাদনশীলতার দিক উন্মোচন করে তাদের আতম নির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এ কার্যক্রমের প্রকৃত লক্ষ ও উদ্দেশ্য। তাছাড়া জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন কল্পে স্যানিটারী ল্যাটিনের ব্যবহার, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে প্রেরণ, জনম নিয়ন্ত্রণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুদের টিকা ইনজেকশন প্রদান, যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করা। কার্য এলাকা : মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৬৪টি জেলার আওতাধীন ৪৭৩টি উপজেলায় মহিলাদের আতম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচি যেমন- সেলাই মেশিন ক্রয়, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগী পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মৎস্যচাষ, নার্সারী ইত্যাদি বিষয়ে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
মহলিা বষিয়ক অধদিপ্তর র্কতৃক বাস্তবায়তি মহলিাদরে আত্ম-র্কমসংস্থানরে জন্য ক্ষুদ্রঋণ র্কমসূচীর সংক্ষপ্তি প্রতবিদেনঃ (লক্ষ টাকায়)
কর্মসূচীর নাম : মহিলাদের আত্ম -কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
তহবিলসমূহের মোট পরিমাণ (টাকা) : ৩৬৭৫.০০ (ছত্রিশ কোটি পঁচাত্তর লক্ষ)
উৎস : জিওবি
অর্থ প্রাপ্তির তারিখ : ২০০৩-০৪=১০,০০.০০
২০০৪-০৫=৫,০০.০০
২০০৫-০৬ =৮২৫.০০
২০০৬-০৭=৬,০০.০০
২০০৭-০৮=৩,০০.০০
২০১১-১২=২৫০.০০
২০১২-১৩=১৫০.০০
২০১৩-১৪=০.৫০
মোট= ৩৬৭৫.০০
বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ (টাকা) (ক্রমপুঞ্জিত) : ৯২,৪৭.৭২ ( বিরানব্বই কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ বাহাত্তুর হাজার টাকা)
উপকারভোগীর সংখ্যা (হাজার) : ১,০৩,৩৫৬ জন
উপকারের ধরন : ১। আয়বর্ধক কর্মসূচী
২। মৎস্য চাষ
৩। হাঁস-মুরগী পালন
৪। ক্ষুদ্র ব্যবসা
৫। গরু ছাগল মোটাতাজাকরণ ইত্যাদি
ব্যাংক স্থিতি (টাকা) : ৯৪৮.৯৭ (নয় কোটি আটচল্লিশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার টাকা)
আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ (টাকা) : ৬৪,৪০.১৬ (চৌষট্টি কোটি চল্লিশ লক্ষ ষোল হাজার টাকা)
অর্থ অনাদায়ী থাকলে তার কারণ/মšতব্য : ৩০,৬৭.৮৮ (ত্রিশ কোটি সাতষট্টি লক্ষিআটাশি হাজার টাকা)
অবিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ : ৯৪৮.৯৭ (নয় কোটি আটচল্লিশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার টাকা)
বিতরণ না হওয়ার কারণ :
চাকুরী বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। তথাপি বৈষম্যমূলক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কারণে নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সম্পদ, তথ্য ও যোগাযোগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে পারে না। সরকারী পর্যায়ে মহিলাদের জন্য গেজেটেড পদে ১০% এবং ননগেজেটেড পদে ১৫% কোটা সংরক্ষণের বিধান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা পূরণ হয় না। কারণ হিসেবে চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ নারী/পুরুষ কর্মীর সংখ্যাগত বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে সচেতনতার অভাব ও উদ্যোগ যেমন রয়েছে তেমনি নারীদের রয়েছে চাকুরী সংক্রামত্ম বিভিন্ন তথ্য যথাযথভাবে না পাওয়া, কার্য়করী যোগাযোগহীনতা, পত্রিকা পাঠের সুযোগ না ।যার ফলশ্রম্নতিতে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরীর আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। উপরোক্ত কারণসমূহকে সামনে রেখে বেকার শিক্ষিত,স্বল্প শিক্ষিত,দক্ষ কিংবা অদক্ষ চাকুরী প্রত্যাশী নারীদের চাকুরী প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদান, চাকুরী সংক্রামত্ম তথ্য সরবরাহ ও চাকুরীতে মহিলাদের কোটা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে রাজস্ব বাজেটের সীমিত জনবল নিয়ে অত্র দপ্তরে চাকুরী বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র চালু হয়। পরবর্তীতে এর গুরুতব অনুধাবন করে কার্যক্রমটিকে অত্র দপ্তরের আরও ২টি কার্যক্রমের (বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র অংগনা এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল) সংগে একত্রিত করে প্রয়োজনীয় জনবলের সমন্বয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ১৯৯৫ সাল হতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন মহিলা সহায়তা কর্মসূচীর একটি কম্পোনেন্ট হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কার্যক্রম সমূহের বিবরণী নারীকে চাকুরী প্রাপ্তিতে সহায়তা করার ও চাকুরী ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোটা পূরনের বিষয়ে সচেতনতা ও ফলোআপ করার নিমিত্ত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নীচ তলায় চাকুরী বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
শিক্ষিত,স্বল্প-শিক্ষিত,দক্ষ-অদক্ষ আগ্রহী চাকুরী প্রত্যাশী মহিলাদের নির্ধারিত ফরম পূরণ পূর্বক প্রাপ্তি রশিদের মাধ্যমে ১৫/-(পনের) টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রের সদস্য হিসেবে নাম নিবন্ধন করে নিবন্ধনকার্ড প্রদান করা হয় যার মেয়াদ ২ (দুই) বছর এবং সকল সদস্যদের জীবনবৃত্তামত্ম সংক্রামত্ম একটি তালিকা তৈরী করা হয়।
চাকুরি বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র এ নিবন্ধীকৃত মহিলাদের চাকুরী প্রাপ্তিতে সহায়তা/অগ্রাধিকার পাওয়ার লক্ষে বিনামূল্যে কম্পিউটার বিষয়ে কম্পিউটার এ্যাপিস্নকেশন (MS-Word, MS-Excel & Power Point) কোর্সে ২ (দুই) মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ পযমর্ত্ম মোট ৬০১ জন প্রশিক্ষনার্থীকে এবং ২০১১-২০১২ অর্থ বৎসরে মোট ২৫ জন প্রশিক্ষনার্থীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের উপযুক্ত চাকুরীর বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির লক্ষ্যে ২ টি দৈনিক পত্রিকা এবং ১টি সাপ্তাহিক চাকুরীর বিজ্ঞাপন পত্রিকা রাখা হয় এবং এ সকল পত্রিকা থেকে চাকুরীর বিজ্ঞাপন সংগ্রহপূর্বক নোটিশ বোর্ড আপডেট করা হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞানের চাহিদা অনুযায়ী বাছাইকৃত প্রার্থীর আবেদনপত্র সুপারিশ সহকারে সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং যে সকল প্রতিষ্ঠানে আবেদনপত্র প্রেরণ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও ফলো-আপ করা হয়।
চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান সমূহের সঙ্গে চিঠি, টেলিফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় ও যোগাযোগ স্থাপন করা হয় এবং সকল সদস্যকে তাদের উপযোগী বিজ্ঞাপনের খবর পৌঁছে দেয়া হয় ।
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত গেজেটেড ১০% এবং ননগেজেটেড ১৫% কোটা পূরনের বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং এদের অধীনস্থ বিভাগ/ব্যুরো/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/ উইং সমূহে নির্ধারিত ছকসহ পত্র প্রেরন এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রস্ত্ততপূর্বক প্রশাসনিক মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়।
বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, পোষাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানসহ দেশী ও আমত্মর্জাতিক সংস্থা সমূহে চাকুরী বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্রের কর্মসূচীর বিষয়ে পত্র প্রেরনসহ মহিলা প্রার্থীদের নিয়োগ এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে নারী-পরুষ কর্মীর সংখ্যাগত বৈষম্য হ্রাসের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করা হয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস